তাফিমুল কবির মুবিন :: ২০১৮ সালের আজকের এই দিনে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেদিন এক অনন্য দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিল ক্রিকেট প্রেমীরা। টাইগার কাপ্তান মাশরাফি টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ২ রানের মাথায় মালিঙ্গার পরপর দুই বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন ও সাকিব এবং দলীয় একই রানে লাকমালের বলে ইনজুরি হয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। এরপর মুশফিক ও মিথুন মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দুজনে ফিফটির পাশাপাশি শত রানের জুটি গড়েন। মিথুন আউট হলে দ্রুতই রিয়াদ ও মোসাদ্দেকের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তারপর মিরাজ, মাশরাফি, রুবেল ও মুস্তাফিজকে নিয়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্চিলেন মুশফিক। দলীয় ২২৯ রানে ৯ম ব্যাটসম্যান হিসেবে মুস্তাফিজ আউট হওয়ার পর সবাই ভেবেছিল বাংলাদেশের ইনিংস হয়তো এখানেই শেষ। কারণ এর আগে ইনজুরি হওয়া তামিম ইকবালের এক হাত ব্যান্ডেজ অবস্থায় ছিল, তাই তামিমের নামার কোনো সম্ভবনা নেই। কিন্তু সবাইকে অবাক করে এক হাতে ব্যান্ডেজ এবং অন্য হাতে ব্যাট নিয়ে ক্রিজে এসে পড়েন তামিম। যার বলে ইনজুরি হওয়া সেই লাকমালের বল এক হাতেই সামলালেন। তামিম ক্রিজে আসার পর দলীয় রানের খাতায় আরো ৩২ রান যোগ হয়, সেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ দাড়ায় ২৬১ রানে। ব্যক্তিগত ১৪৪ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মুশফিক।
২৬২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের বোলিং তোপে পড়ে ৩৮ রানের মাথায় চার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১২৪ রানে অল আউট হয়ে যায় লংকানরা। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে দিলরুয়ান পেরেরার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফি, মুস্তাফিজ ও মিরাজ ২টি এবং সাকিব, রুবেল ও মোসাদ্দেক ১টি করে উইকেট নেন।
সেদিন ক্রিকেট প্রেমীরা দেখেছিল মুশফিক-তামিমের লড়াকু মানসিকতার। অনন্য দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিলাম আমরা সবাই। সেদিন যারা এই ম্যাচটি দেখেছিল তারা কোনোদিন ভুলতে পারবে না সেই ম্যাচের দৃশ্যপট।