সিলেটে জন্ম নেয়া যে ক’জন ক্ষনজন্মা পুরুষ মাহিমান্বিত করেছেন ৩৬০ আউলিয়ার আধ্যাত্মিক পুন্যভূমি সিলেটের মাটিকে,
প্রয়াত এম সাইফুর রহমান তাদেরই অন্যতম একজন।
নামের আগে-পরে তাই বিশেষ কোন বিশেষনের প্রয়োজন নেই।
বিশ্বব্যাংকের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে মেজর জিয়াউর রহমানের সাথে
উন্নয়ন প্রশ্নে সিলেট কে অগ্রাধিকারের শর্ত দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন পুন্যভূমি সিলেটের কিংবদন্তী পুরুষ সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান।
ব্যক্তি সাইফুর রহমান যতখানি দল বিএনপির,
তার চেয়েও ঢের বেশী সিলেট তথা বাংলাদেশের উন্নয়নে নিবেদিতপ্রান একজন অর্থনীতিবিদ।
মৌলভীবাজার জেলার বাহারমর্দনে সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়ে যিনি নিজ মেধা যোগ্যতায় রাস্ট্রের অর্থমন্ত্রী,
বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্বও করেছেন বহুবার।
তাই,
কেবল রাজনৈতিক মতপার্থক্য কোন কিংবদন্তীকে শৃঙ্খলিত করতে পারে না।কিংবদন্তীরা কোন দল বা গোষ্ঠির ব্যক্তিগত সম্পত্তি নন।
বর্তমান সিলেটের বেশীরভাগ উন্নয়ন কাজ তিনি ই করেছেন।
এক্ষেত্রে বাধাঁ হয়নি ভোটের অংকও!
ক্ষনজন্মা এমন মানুষগুলো পৃথিবীতে আসেন,
অনেক কিছু বিলিয়ে হঠাৎই হারিয়ে যান।
বাড়ি জুড়ী উপজেলায়(মৌলভীবাজার)আমার।এ অঞ্চলের মানুষ হিসেবে রাজনৈতিক দর্শনের বাইরে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে বিবেকের কাছে দোষী হয়ে যাবো।
এই জুড়ী যদি উপজেলা ই না হতো;
বহু স্বপ্ন তো অধরাই থাকতো আমাদের!
হ্যা,সব রাজনীতিবিদদের আলাদা আলাদা অবদান অবশ্যই আছে।
আমাদের প্রিয় নাড়িপোতা জন্মমাটি ‘জুড়ী’কে উপজেলায় রুপান্তরে একক কৃতিত্ব ছিল এ কর্মপাগল মানুষটার।
নাহলে এখনো হয়তো জুড়ীকে উন্নয়নবঞ্চিত থেকে বিভক্ত কুলাউড়া-বড়লেখার সাথে প্রশাসনিক অংশিদারিত্বের সাপলুডু ই খেলতে হতো!
রাজনৈতিক শৃঙ্খলে মানুষের ভালোমানুষি ঢেকে যায় না।
আপনি/আমি যে দল ই সমর্থন করি না কেন।আগে মানুষ,পরে রাজনীতি।
আর যিনি,কাজের মাধ্যমে দলীয় পরিচয়ের শৃঙ্খল ভাঙ্গেন তিনি ই তো প্রকৃত জননেতা।
মত-পথ ভিন্ন হলেও সত্য সত্যই।
আপনি/আমি সত্য স্বীকার না করলেও,সত্য তো সত্য ই।
আজ সিলেটের কিংবদন্তী পূরুষ মরহুম এম সাইফুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকীতে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরন করছি শ্রদ্ধায়-ভালোবাসায়।
আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন, আমীন।
লেখক : জুবায়ের হাসান, প্যারিস