মনির হোসেন জীবন / শফিকুল ইসলাম শফিক :
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় চাঞ্চল্যকর ১৩ বছরের শিশু ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি মোঃ হাবিবুল্লাহ ওরফে হবি মোল্লা (৫৫)’কে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব বলছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি দল গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া ২ টার দিকে হাজারীবাগ এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে থেকে গ্রেফতার করে ।
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানার মোঃ ইমামদ্দি গাইনের পুত্র।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি এবং সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম এসব তথ্য জানান।
মামলার এজাহার সূত্রের বরাত দিয়ে র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, আসামি মোঃ হাবিবুল্লাহ ওরফে হবি মোল্লা (৫৫) এবং ভিকটিম একই গ্রামে পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করত। ভিকটিম আগৈলঝাড়া থানার একটি স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল। আসামি ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে ভিকটিমের বাড়িতে মাঝে মধ্যে আসা যাওয়া করত। ভিকটিম স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে আসামি মোঃ হাবিবুল্লাহ ওরফে হবি মোল্লা তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিত। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ইং তারিখ রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় আসামি মোঃ হাবিবুল্লাহ ওরফে হবি মোল্লা ভিকটিমকে একা পেয়ে জানায় যে, অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মোবাইল ফোনে ভিকটিম এর অশ্লীল ভিডিও ও নগ্ন ছবি আছে। ওই অশ্লীল ভিডিও ও নগ্ন ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে আসামি মোঃ হাবিবুল্লাহ ওরফে হবি মোল্লা ভিকটিমকে বাড়ির পাশের বাগানে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আসামি ভিকটিমকে এই ঘটনার বিষয় কাউকে কিছু না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায় এবং ভিকটিমকে অশ্লীল ভিডিও ও নগ্ন ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না ছড়ানোর বিনিময়ে পাঁচ হাজার টাকা দাবী করে।
মামলা সূত্রে আরও জানা গেছে, আসামির এহেনু কার্যকলাপে ভিকটিম মানসিক কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তার পরিবারকে ওই ঘটনা জানায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থাানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামী
মোঃ হাবিবুল্লাহ ওরফে হবি মোল্লা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এতো দিন পালিয়ে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।