শাহজালালে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ৪.৪৯২ কেজি সোনাসহ এক যাত্রী আটক
শাহজালালে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ৪.৪৯২ কেজি সোনাসহ এক যাত্রী আটক
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত মে ১৮, ২০২৪
মনির হোসেন জীবন : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৪ কেজি ৪৯২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি টিম।
জব্দকৃত এসব স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা বেশি।
আটক ওই প্রবাসি যাত্রীর নাম শহীদ মিয়া। তার পাসপোর্ট নং- বিডব্লিও -০৬০৫৭৭৪, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৯০১২৯৮৫৯৭৬০৬৮
আজ শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারি পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার সোনা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৮ টা ৪১ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের (বিএস ৩৪৬ নম্বর) ফ্লাইটি শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে। আর ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন শহীদ মিয়া। পরে তাকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের এ- শিফটের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ৪৪৯২ গ্রাম সোনাসহ আটক করা হয়।
এ বিষয়ে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী পরিচালক (চ. দা.) প্রদীপ কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে বোর্ডিং গেট, ট্রানজিট পয়েন্ট, গ্রিন চ্যানেলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্কতামূলক অবস্থান নেওয়া হয়। স্বর্ণসহ যাত্রী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় গ্রিন চ্যানেলের স্ক্যানিং মেশিন অতিক্রম করার পর তাকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর টিমের সদস্যরা চিহ্নিত করেন এবং তার কাছে স্বর্ণালংকার বা স্বর্ণজাতীয় কোনও কিছু আছে কিনা জানতে চান। তখন তিনি তার কাছে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কার থাকার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার কাছে ৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। আর কোনও স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করায় তাকে আর্চওয়ে করানো হয় এবং তখন যাত্রীর পরনে অত্যধিক পরিমাণ জামাকাপড়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, যাত্রীর জামাকাপড়ের ওজন অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় ওই জামাকাপড় খুলে স্ক্যানিং মেশিনে স্ক্যান করা হয় এবং জামাকাপড়ের মধ্যে বিশেষভাবে লুকায়িত স্বর্ণের ইমেজের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে যাত্রীকে কাস্টমস হলে নিয়ে আসা হয়। পরে স্বর্ণের পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য যাত্রীর শরীরে পরিহিত ১৬ পিস কাপড় (যার মধ্যে শর্ট প্যান্ট-৯টি, স্যান্ডো গেঞ্জি-৬টি ও ফুল প্যান্ট-১টি) স্থানীয় স্বর্ণকারের মাধ্যমে যাত্রী ও বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে বিমানবন্দরের ক্যানোপি-১ এ নিয়ে পোড়ানো হয়। পোড়ানোর পর অপরিশোধিত ৪ হাজার ৪৬২ গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ নির্ণয় করা হয়। প্রাপ্ত মোট স্বর্ণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৯২ গ্রাম বা সাড়ে ৪ কেজি প্রায়। প্রাপ্তমোট সোনার পরিমান হল ৪৪৬২ গ্রাম অপরিশোধিত সোনা ও ৩০ গ্রাম অলংকার।
প্রদীপ কুমার সরকার জানান, জব্দ করা এসব স্বর্ণ কাস্টম হাউসের মূল্যবান শুল্ক গুদামে জমা করা হয়েছে। যাত্রীকে রাতে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দসহ তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।