মো: শফিকুল ইসলাম : রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় এক ব্যবসায়ী ও এক কিশোরী (মানসিক প্রতিবন্ধী নারী)সহ দু’ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর কোতয়ালি থানার বাবুবাজার ও যাত্রাবাড়ী থানার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী শহিদ ফারুক সড়কে এসব পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, নিহতের নাম জালাল মিয়া (৪১)। মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত নঈমুউদ্দিন শেখের পুত্র। তিনি বাবুবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতেন এবং
কাগজের ব্যবসা করতেন।
অপর জনের নাম খাজিদা আক্তার রাত্রী (১৬)। সে একজন কিশোরী (মানসিক প্রতিবন্ধী) নারী বলে জানা গেছে।
নিহতের পুত্র মো. হাসানের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, আমার বাবা জালাল বাবুবাজার এলাকায় একজন কাগজের ব্যবসায়ী ছিলেন। আজ সকালে বাসা থেকে বের হয়ে দোকানে গিয়ে ফ্যান ছাড়ার জন্য বিদ্যুতের সুইচে হাত দেওয়া মাত্রই অসাবধানতাবশত: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আজ সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি ) মো. বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
অপরদিকে, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী শহিদ ফারুক সড়ক রোডের একটি ৪ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে খাজিদা আক্তার রাত্রী (১৬) নামে এক কিশোরী মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নিহত হয়েছে।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সকাল পৌঁনে ৯টার দিকে ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কিশোরীর বাবা কাওসার আহমেদ হাওলাদার জানান, আমার মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। সকালে সবার অগোচরে বাসার ছাদে গিয়ে অসাবধানতাবশতঃ নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত খাদিজাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
এবিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।