নিজস্ব প্রতিবেদক :
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নগত এজেন্ট নাম্বারে কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে নগত এজেন্ট গ্রাহককে ফোন দেন। নগদ একাউন্ট আপডেট করার নাম করে অথবা নগদ একাউন্ট ব্লক করা হয়েছে মর্মে মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে এজেন্টের নগদের ওটপি নাম্বারটি কৌশলে সংগ্রহ করেন এবং একাউন্টটি হ্যাক করে জালিয়াতির মাধ্যমে এজেন্টের টাকা উত্তোলন করে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷
উপজেলার দক্ষিণ হাটসহর গ্রামে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নগদ এজেন্ট হিসেবে একটি দোকান চালাতেন মোঃ আইনুল হক (২৭)। নগদ এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের এসআর বিপ্লবের নাম্বার ক্লন করে ওটিপি হাতিয়ে নিয়ে একাউন্টে থাকা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা৷ প্রতারণা করে তুলে নিয়েছে একটি চক্র। টাকা এভাবে খুইয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই নগদ এজেন্টের দোকানি আয়নুল হক দম্পত্তি৷
বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) সকাল ১১ টায় উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন দক্ষিণ হাটশহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আইনুল হক দক্ষিণ হাটশহর গ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে। রূপালী পারভীনের স্বামী৷
পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দক্ষিণ হাটশহর গ্রামের নগদ এজেন্ট ব্যবসায়ী আয়নুল হকের কাছে নগদের এসআর বিপ্লবের ফোন নম্বর ক্লোন করে শুক্রবার সকাল ১১ টায় অজ্ঞত নামা ০১৭৩৫৯১২৯৭২ ফোনের ওপার থেকে দাবি করা হয় যিনি কল করছেন তিনি নগদ এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার কর্মচারী ফোনের ওপার থেকে বলা হয় তাদের নগদ এজেন্ট অ্যাকাউন্টি ব্লক হয়ে রয়েছে। সেটিকে যদি চালু না করা হয় এক কালিন ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করতে পারবেন না৷ আয়নুল বিষয়টি না বুঝেই প্রতারকদের হাতে তুলে দেন ওটিপি৷ মুহূর্তে খোয়ালেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা৷
আয়নুল হকের স্ত্রী রূপালী পারভীন বলেন, ‘প্রতারকদের কারণে আমরা পথের ভিখারি হলাম আমার খুব কষ্টের টাকা আমরা এই টাকা কিভাবে পরিশোধ করব। পুলিশ প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি, তদন্ত করে যেন নগদ প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা হয়।’টাকা গুলু ফেরত পেলে হয়তো পুনরায় ব্যবসা করতে পারব ৷
জানতে চাইলে নগদের এসআর বিপ্লব বলেন৷ আমরা এজেন্ট প্রদনের সময় নগদ ব্যাংকিং এজেন্ট ব্যবসায়ীকে যথাযথ প্রশিক্ষণ অধিক দিক নির্দেশনা দিয়েছি তিনি যখন টাকাগুলো আদান প্রদান করেন বারবার তাকে সতর্ক করা হয়েছে আমি তার নগদ এর মাধ্যমে ধাপে ধাপে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রেরণ করেছি যেহেতু আমার নাম্বারটি ক্লন করে দোকানিকে ভুল বুঝিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আমিসহ আমার সংস্থার যতটুকু আইনি প্রক্রিয়া সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমরা করব এই হ্যাকার প্রতারক চক্র যেন আইনের আওতায় আসে এই হ্যাকার গ্রুপ সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে৷
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিল নগদ এজেন্ট ব্যবসায়ী আমি তাকে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি৷৷