নিজস্ব প্রতিবেদক ::
বর্তমান ও সাবেক বিএনপির ১২৫ নেতার সমন্ময়ে গঠিত ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ আসন্ন ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার,১৫ নভেম্বর,বিকেলে রাজধানীর মালিবাগ এলাকার স্কাই সিটি হোটেল লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে দলটি ঘোষণা দিয়েছেন
সংসদীয় নির্বাচন গনতন্ত্র সুরক্ষার একটি উপাদান। বাংলাদেশের সংবিধানের বাধ্যবাধকতায় প্রতি ৫ বছর পর পর সংসদীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করেন। ১১ তম সংসদের মেয়াদ ২৯ শে জানুয়ারীর ২০২৪ সালে সমাপ্ত হবে। সংবিধানের বিধান অনুসারে ২৯ শে জানুয়ারী পূর্বেই ১২ তম সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতেই হবে। তা না হলে সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগ উত্থাপিত হবে। ক্ষমতার পরিবর্তন একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব, অন্য কোন উপায় সংবিধানে লিপিবদ্ধ নাই।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকমের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সংসদ নির্বাচন করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব উপেক্ষা করার কোন উপায় নেই।
বর্তমান সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে ১২ তম সংসদীয় নির্বাচন হতেই হবে। নির্বাচন বর্জন একটি দলের অধিকার হতে পারে না তবে নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া অনৈতিক এবং সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করার শামিল কারন নির্বাচন প্রতিহত করতে যে শক্তির প্রয়োজন তাতে ধ্বংসাত্মক দিক ফুটে উঠে যেমন; মৃত্যু, সম্পত্তির ক্ষতি সাধন, শিক্ষার কার্যক্রম ব্যাহত করা সহ রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়া কিছুই নাই।
পরিস্থিতি যে রকম হোক না কেন নির্বাচন প্রতিহত করার কোন আন্দোলনের ডাক গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অন্তরায়। আমরা মনে করি ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার এর মধ্যে পড়ে।
নির্বাচন কমিশন আমরা জানি স্বাধীন। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাহাতে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে না পারলে একদিন না একদিন জনতার কাঠগড়ায় আপনাদের দাড়াতে হবে এবং সেদিন জনতার আদালতেই আপনাদের বিচার হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মম আচরনের কারনে আমাদের অন্তরে রক্তক্ষরন হচ্ছে। জাতিসংঘ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দিতে বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করেছে এবং সেই সাথে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করছি। আমরা মনে করি বর্তমান সরকার তা বিবেচনা করে তিন বারের সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নতর চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। চিকিৎসা করার অধিকার প্রতিটি মানুষের আছে। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগকে দূর্বল বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১২ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে দেয়া যাবে না। সেজন্য জনপ্রিয় ও গ্রহনযোগ্য প্রার্থী মনোনীত করে প্রতিদ্ধন্ধিতা করা সমূচীত, তাতে করে সুষ্ঠ নির্বাচনে অনেক যোগ্য প্রার্থী ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করে সংসদে জনগনের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে এবং একটি প্রানবন্ত সংসদ জাতি ফিরে পাবে। বর্তমানের এই ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচির সাথে আমরা একমত পোষন করি না। আমরা এই ধ্বংসাত্মক কর্ম সূচির
বিরোধিতা করছি।