আমি গাজী আব্দুর রব, সত্ত্বাধিকারী- মেসার্স কসমো ফিলিং স্টেশন এন্ড সার্ভিস সেন্টার, প্লট-৬৯, সেক্টর-০৭, আজমপুর, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ এই মর্মে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি যে, গত ০৮ সেপ্টেম্বর দৈনিক সমকাল পত্রিকার ৩য় পাতায় ‘রাজউকের ৪০০ কোটি টাকা টাকার জমি দখল হওয়ার অভিযোগ’ শীর্ষক শিরোনামে আমার প্রতিষ্ঠান, আত্মীয়-স্বজন ও আমাকে জড়িয়ে একটি মিথ্যা খবর প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অসত্য, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, চরম পক্ষপাতদুষ্ট, ভিত্তিহীন তথ্যে পরিপূর্ণ একটি মনগড়া রিপোর্ট। প্রতিবেদনটি ওই পত্রিকার অনলাইন পোর্টালেও শিরোনামে আংশিক ভিন্নতা এনে প্রকাশ করা হয়।
‘সমকাল প্রতিবেদক’ এর নামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দাবী করা হয়, আমার নিকট আত্মীয়রা নাকি রাতের আঁধারে বহিরাগত লোক নিয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর পাম্পে ভাংচুর করেছে; যা সম্পূর্ণ অবাস্তব ও প্রতিবেদকের নির্লজ্জ মিথ্যাচার। প্রকৃত সত্য এই যে, আমি রাজউক কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির নিকট হইতে বিগত ০৮/০৩/২০০০ইং সনে উক্ত প্লটটি ২৫ (পঁচিশ) বৎসরের লীজ গ্রহণ করি এবং সেখানে ফিলিং স্টেশন (পেট্রোল পাম্প) স্থাপনপূর্বক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু, গেল কয়েক বছর যাবৎ রাজউক কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির গুটি কয়েক দূর্নীতিবাজ ও অসাধু চক্র নিজেদের কু-স্বার্থ হাসিলের নিমিত্তে ও হিংসার বশবর্তী হয়ে জায়গাটিতে ব্যবসা পরিচালনায় আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে হয়রানি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমি মহামান্য হাইকোর্টে সিভিল আাপিল নং-১৩৮/২৩ এবং সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং- ২১২৬/৩ দায়ের করি এবং দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর মহামান্য আদালত কর্তৃক গত ৩১/০৭/২০২৪ইং তারিখের আদেশ বলে আমি আমার ফিলিং স্টেশন পরিচালনার বৈধতা পাই। এরই সূত্র ধরে, গত ০৬/০৯/২০২৪ইং তারিখ সকাল ৭টায় আমার প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর, ম্যানেজার ও স্টাফগণ আমাদের বৈধ প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম মেনে চালু করেন। যা রাজউকের কতিপয় অসাধু চক্র কর্তৃক গত এক বছরের বেশি সময় ধরে অবৈধ ও জোরপূর্বক টিনের বেষ্টনী দ্বারা বৈআইনীভাবে ঘেরাও করে রেখেছিল। বিষয়টি সেসময়কার একাধিক পত্র-পত্রিকা খবরেও প্রকাশিত হয়। আর এ বিষয়টিকে প্রতিবেদক ওই দূর্নীতিবাজ ও কুচক্রী মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভিন্নভাবে উত্থাপন করেছেন।
আবার, প্রতিবেদনের শিরোনামে ‘৪০০ কোটি টাকার জমি দখল’ এর প্রসঙ্গ আনা হয়েছে তা প্রতিবেদকের জঘন্য মিথ্যাচার। কেননা, ১৩ (তের) কাঠা আয়তনের ওই জমির মূল্য কোনভাবেই ৪০০ কোটি টাকা নয়। বরং মোটা অংকের টাকার হিসাব দেখিয়ে প্রতিবেদক জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন মাত্র।
আরও একটি বিষয় স্পষ্ট যে, প্রতিবেদনে রাজউক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ বাবু ও কোষাধ্যক্ষ রোমাজ্জল হোসেন খান নামের দুই ব্যক্তির বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। বিপরীতে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার নীতি পরিপন্থী ওই প্রতিবেদক আমার বক্তব্য তুলে না ধরে উল্টো অযুহাত দেখিয়েছেন যে, আমার মোবাইল নাকি বন্ধ ছিল। যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার, পক্ষপাতদুষ্ট ও হলুদ সাংবাদিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এমনকি তথাকথিত ওই রিপোর্টে আমার মেয়ে, মেয়ের জামাই এবং আমার ভাই নাসিরের নাম উল্লেখ করা হলেও তাদের কারো বক্তব্য জানা কিংবা নেয়ার চেষ্টা করেন নি ওই প্রতিবেদক। যা প্রতিবেদকের সাংবাদিকতার নীতি পরিপন্থী ও অপেশাদারসুলভ আচরণের নগ্ন বর্হিঃপ্রকাশ।
বরং আসল সত্য এই যে, প্রতিবেদনে বক্তব্য প্রকাশিত হওয়া রাজউক কর্মকর্তা কর্মচারী বহুমুখী সমিতির ওই দুই ব্যক্তি নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে সমিতির গুটিকয়েক অসৎ, দূর্নীতিবাজ লোকজনকে সাথে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসছিল। আইনীভাবে তারা আমার সাথে না পেরে উঠতে পেরে সবশেষ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দৈনিক সমকালের ওই প্রতিবেদককে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডায় যুক্ত হয়েছেন। আর প্রতিবেদকও ওই দূর্নীতিবাজদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ও সত্য তথ্য উদ্ঘাটন ছাড়াই আমার, আমার পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমি প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিনীত-
গাজী আব্দুর রব
সত্ত্বাধিকারী, মেসার্স কসমো ফিলিং স্টেশন এন্ড সার্ভিস সেন্টার