গণমাধ্যম শীর্ষক সেমিনারেবক্তারা: প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ এবং গণমাধ্যম অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে
গণমাধ্যম শীর্ষক সেমিনারেবক্তারা: প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ এবং গণমাধ্যম অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত জুন ৪, ২০২৪
মনির হোসেন জীবন : জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ এবং গণমাধ্যম ভুমিকা রাখতে পারে।
সোমবার ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটি সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে একটানা দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম, এবং আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনএনআরসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে সেমিনারে আলোচনা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ। সেমিনার পরিচালক হিসেবে ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রামার মোহা. আব্দুস সালাম এবং সমন্বয়ক হিসেবে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাজী ওমর খৈয়াম দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম বলেন, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ধারণাটি প্রথম আলোচনায় আসে ২০২১ সালে। আমাদের ছোট ছোট নানা ধরনের পরিকল্পনা আছে কিন্তু প্রেক্ষিত পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদী। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সবার সম্মলিতভাবে কাজ করতে হবে।
এএইচএম বজলুর রহমান তাঁর আলোচনায় বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, উন্নয়ন বাজেট, দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা হিসেবে সাংবাদিকবৃন্দকে উন্নয়ন সাংবাদিকতা বিষয়ে গঠনমূলক প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমকে ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশের সূচকগুলো নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। তবেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনার বিষয়গুলো সম্পূর্ণরুপে প্রস্ফুটিত হবে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন যা বাস্তবে পরিণত হয় ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে, এ ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য হলো দেশের জনগণের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন, জিডিপির হার বৃদ্ধি, ক্যাশলেস সোসাইটি গঠন, মাথাপিছু আয় প্রভৃতি।
সেমিনারে সরকারি-বেসরকারি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৬০ জন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।